চট্টগ্রামে ভোজ্যতেলের সংকট ক্রমশ বেড়ে চলছে, যা গত দুই মাস ধরে আরও তীব্র হয়েছে। স্থানীয় বাজারে চাহিদার ২৫ শতাংশ তেলও পাওয়া যাচ্ছে না, এবং পরিস্থিতি রমজানে আরও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করছেন, চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ বাজারে একাধিক সিন্ডিকেট সরবরাহ কমিয়ে দিয়ে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করেছে, যার ফলে ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে এবং সাধারণ ভোক্তাদের বিপাকে পড়তে হচ্ছে। সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে ২০ থেকে ২৫ টাকা বেশি দামে ভোজ্যতেল বিক্রি হচ্ছে, এবং বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না।
অন্যদিকে, ভোজ্যতেলের দাম ৮ টাকা করে বাড়ানোর পর, বাজারে সরবরাহ কমে যাওয়ার ফলে দাম আরও বেড়ে গেছে। খুচরা বাজারে ১ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৯০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে, এবং ৫ লিটার বোতল ৯৫০ থেকে এক হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খোলা সয়াবিন তেলও ১৬৫-১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা সরকারের নির্ধারিত দামের চেয়ে অনেক বেশি। বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের দাবি, তারা বোতলজাত সয়াবিন তেল পাচ্ছেন না এবং সরবরাহ বন্ধ রেখে সিন্ডিকেট বাজার অস্থির করেছে।
এছাড়া, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সয়াবিন তেলের আমদানি বেড়েছে, তবে সঠিক পরিমাণে সরবরাহ পাচ্ছে না ব্যবসায়ীরা। সরকারি শুল্ক-কর কমানোর পরও বাজারে স্থিতিশীলতা আসেনি, বরং দাম আরও বেড়েছে। বিশেষত, আন্তর্জাতিক বাজারের সংকট এবং ডলার সংকটের কারণে আমদানি কমে গেছে, ফলে দাম বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহ কমিয়ে দেয়ার কারণ স্পষ্ট নয়, তবে এটি ভোজ্যতেলের বাজারে সংকট তৈরি করেছে।